চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক: আজ ২০ জুলাই, বিশ্ব দাবা দিবস। ১৯২৪ সালের এই দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরে বিশ্ব দাবা সংস্থা গঠন করা হয়েছিলো। খেলাটির প্রচার এবং প্রসারের উদ্দেশ্যে ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ২০ জুলাই প্রথম আন্তর্জাতিকভাবে দাবা দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছর বিশ্ব দাবা সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। এই দিন বিশ্ব দাবা সংস্থার ১৮১টি সদস্য স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তঃজাতিক পর্যায়ে দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করে। ২০১৩ সালে বিশ্বের ১৭৮ দেশে বিশ্ব দাবা দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
দাবা প্রাচীনকাল থেকেই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। প্রাচীন ভারতে খেলাটি ‘চতুরঙ্গ’ নামে পরিচিত ছিলো। ভারত থেকেই এই খেলাটি প্রথমে পারস্যে, তারপর আরব দেশে এবং পরবর্তীকালে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমে এই খেলায় বিভিন্ন ধরনের নিয়ম তৈরি হয়েছে। দাবা খেলা সাধারণত দুটি পক্ষের মধ্যে বা দুজনের মধ্যে হয়ে থাকে। ২০১২ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে বিশ্বের প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ভিতর ৭০% জীবনের কোনো এক সময়ে দাবা খেলেছেন।
প্রথমদিকে দাবা ছিলো রাজাদের খেলা। এরপর সাধারণত উচ্চ শ্রেণির মানুষদের মধ্যেই এই খেলা সীমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তু আধুনিক যুগে এই খেলাটি সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। ১৮৫১ সালে লন্ডনে প্রথম আধুনিক দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো। এই প্রতিযোগিতায় জার্মানির দাবাড়ু অ্যাডলফ অ্যান্ডারসন জয় লাভ করেন।
প্রতিবছর বিশ্ব দাবা সংস্থা ফিডে (FIDE) বিভিন্ন কার্যসূচীর মাধ্যমে এই দিবস উদযাপন করে। আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টার দাবা খেলার সর্বোচ্চ খেতাব যা দাবা খেলার আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিডে কর্তৃক দেয়া হয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া গ্র্যান্ডমাস্টার হলো একমাত্র খেতাব যা একজন দাবা খেলোয়াড় অর্জন করতে পারেন। একবার অর্জন করার পর আজীবন একজন খেলোয়াড় এই পদবীর দাবিদার থাকেন।
বাংলাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ। ১৯৮৭ সালে ২১ বছর বয়সে উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন তিনি। তখন গোটা এশিয়াতেই গ্র্যান্ডমাস্টার ছিলেন মাত্র চারজন। এরপর গত ৩৪ বছরে মাত্র চারজন গ্র্যান্ডমাস্টার পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছেন জিয়াউর রহমান। ২০০৬ সালে রিফাত বিন সাত্তার, ২০০৭ সালে আবদুল্লাহ আল রাকিব। সর্বশেষ গ্র্যান্ডমাস্টার ২০০৮ সালে পেয়েছে বাংলাদেশ, সেবার এই খেতাব পান এনামুল হোসেন রাজীব।
Leave a Reply